চুরি যাওয়া গাড়ি ফিরে পাওয়ার উপায়!
একজন গাড়ির মালিক হিসেবে, আপনি সম্ভবত আপনার গাড়ির নিরাপত্তার কথা ভেবেছেন। এটি নিরাপদ? আপনার ড্রাইভার কি লোকেদের যাত্রার জন্য নিয়ে যায়, বা আপনার নিজের কর্মচারী কি তাদের নিজস্ব ব্যক্তিগত কার্যকলাপের জন্য গাড়ি ব্যবহার করে? বাংলাদেশের সেরা জিপিএস ট্র্যাকিং পরিষেবাগুলির সাথে, আপনাকে আর এটি নিয়ে চিন্তিত হতে হবে না।
গ্লোবাল পজিশনিং সিস্টেম (জিপিএস) প্রযুক্তির মাধ্যমে গাড়িতে থাকা জিপিএস ট্র্যাকার গাড়ির অবস্থান সহ সব খবরাখবর স্যাটেলাইটের মাধ্যমে গাড়ির মালিকের মোবাইল অ্যাপে পৌঁছে দেয়।
গাড়িতে জিপিএস ট্র্যাকার থাকলে মোবাইলে লাইভ ট্র্যাকিং এর সাহায্যে গাড়ির গতিবিধি জানা, লোকেশন ট্র্যাকিং, ওভারস্পিড এলার্ম, ইঞ্জিন কেউ অন করলেই ইগনিশন এলার্ট এবং দূর থেকে গাড়ির ইঞ্জিন অফ করার মাধ্যমে গাড়িকে হাতের মুঠোয় রাখা সম্ভব।
জিপিএস ট্র্যাকার:
কামরুল সাহেবের (ছদ্মনাম) অটোরিক্সার ব্যবসা। বর্তমানে তার গ্যারেজে অটোরিক্সার সংখ্যা ২৫টি। অটোরিক্সাগুলো মাঝে মাঝেই চুরি অথবা ছিনতাই হয়। কখনো কখনো মুক্তিপণ দিয়ে অটোরিক্সাগুলোর কয়েকটি ফিরে পাওয়া গেলেও বেশিরভাগ পাওয়া যেত না। গত মে মাসের দিকে তিনি তার সবগুলো অটোরিক্সাতে জিপিএস ট্র্যাকিং ডিভাইস ইন্সটল করেছেন। এর সুফল যে তিনি এত দ্রুত পাবেন সেটা হয়তো তিনি নিজেই ভাবেননি। জুন থেকে জুলাইয়ের মাঝে তার ৩টি অটোরিক্সা চুরি হলে কোনোরকম মুক্তিপণ ছাড়াই জিপিএস ট্রাকিংয়ের মাধ্যমে তিনি সবগুলো অটোরিক্সা উদ্ধার করতে সক্ষম হন।
শাফিনুর আজনান সাহেবের গল্পটা একটু ভিন্ন। ড্রাইভার প্রায়ই সিএনজি গ্যাস আনতে গিয়ে বিশাল লাইনের অজুহাত দেখায়। এক রাতের কথা ড্রাইভারের ভাষ্য মতে, গাড়ি যথারীতি সিএনজি গ্যাসের লাইনে দাঁড়ানো। শাফিনুর সাহেব গাড়ির লোকেশন ট্র্যাক করে দেখলেন এয়ারপোর্ট সিগন্যালে দাঁড়িয়ে আছে তার গাড়ি। যেখানে তার জানামতে কোনো সিএনজি স্টেশন নেই। সন্দেহ হওয়ায় ভয়েস ট্রাকিং অপশনের মাধ্যমে কল করলেন গাড়িতে আর ড্রাইভারের গলার আওয়াজে শুনতে পেলেন মহাখালি ২০ টাকা, মহাখালি ২০ টাকা। বুঝতে আর কিছুই বাকি রইল না শাফিনুর সাহেবের।
এমন পরিস্থিতি যাতে আপনার সাথেও না হয়; গাড়িতে আজই ইন্সটল করে ফেলুন জিপিএস ট্র্যাকার।